পটিয়া উপজেলাধীন শ্রীমাই-এ বালুমহাল কর্তৃক অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সঠিক সীমানা নির্ধারণের জন্য চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন জমির ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। এতে অবৈধভাবে বালু উত্তেোলন করে কৃষি জমির ফসল উৎপাদনে বাধা সৃষ্টির জন্য এস এম রেজা (রিপন), পিতা- মওলানা ইকবাল, মোঃ বুলু, পিতা- নুরুল ইসলাম সাং: বাহুলী, ৭নং ওয়ার্ড, পটিয়া, চট্টগ্রাম ছাড়াও আরো ৭/৮ জনসহ অজ্ঞাতদের উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি (২০ অক্টোবর) চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মোতাহার হোসেন, কামাল উদ্দিন মেম্বার, শফি ও আলমগীর নামে তিন ভুক্তভোগী।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, শ্রীমাই বালুমহাল সংলগ্ন তাদের নিজস্ব জমিতে দীর্ঘকাল যাবৎ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করে আসছে। কিন্তু ইদানীং কিছু অসাধু ব্যক্তিবর্গ বালুমহালের নামে অবৈধভাবে জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে, যা তাদের ফসল উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করছে এবং জমির সীমানা নির্ধারণেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
জমির ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করেছেন, এই কারণে বালুমহালের লোকদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদের ঘটনা ঘটছে এবং এই পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যেই তিনজনের অধিক প্রাণহানি হয়েছে।
গত সরকারের সময়ে বালুমহালের সীমানা সঠিকভাবে নির্ধারণ না করায়, খাস জমির দাগ নম্বর ভুলভাবে দেখিয়ে তিনটি বালুমহালের পরিবর্তে একটি মাত্র বালুমহাল দেখানো হয়েছে। ফলে জমির মালিকরা সীমানা নিয়ে জটিলতায় পরেছেন।
তারা আরো বলেছেন, এই অবৈধ কার্যকলাপ থেকে মুক্তি পেতে এবং তাদের জমির সঠিক সীমানা পুনঃনির্ধারণের জন্য জেলা প্রশাসকের সুনির্দিষ্ট হস্তক্ষেপ আবশ্যক। বাংলাদেশ সরকারের বালুমহাল নীতিমালার আলোকে সঠিক প্রক্রিয়ায় ইজারা প্রদান করা হলে, জমির সীমানা নিশ্চিত হবে এবং জমি রক্ষায় ভুক্তভোগীদের কষ্ট লাঘব হবে।
সংবাদচিত্র ডটকম/সারাদেশ