নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গত তিন দশকের মধ্যে এটি নেপালের সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় সোমবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এছাড়া বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নেপাল সরকার।
নেপালের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নেপালের পোখারায় ৭ রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সংযোগ ছিল প্লেনটির। এরপর এটি বিধ্বস্ত হয়। পুরোনো বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝে এটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছেন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বার্তাউলা।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ বলছে, প্লেনটি ১৫ বছরের পুরোনো ছিল। বিমানটি নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছিলো। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে ৬৮ যাত্রী, দুজন পাইলট ও দুজন কেবিন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন নেপালি, পাঁচ ভারতীয়, চার রাশিয়ান, দুই কোরিয়ান, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিল।
দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমানটি পোখরা বিমানবন্দরের দেড় কিলোমিটার দূরে সেতি নদীর কাছে বিধ্বস্ত হয়। এখনও শতাধিক উদ্ধারকর্মী বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যমে দেখা যায়, উদ্ধারকর্মীরা বিমানের ভাঙা অংশের চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে। দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কিছু মাটি আগুনে ঝলসে গেছে।
সংবাদচিত্র ডটকম/আন্তর্জাতিক