সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। এ ঘটনায় কোনো ধরনের গণপিটুনির ঘটনা সহ্য করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। উত্তরা এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ঘটনায় একজন অ্যারেস্ট আছে, এবং আমরা একটা মামলাও নিচ্ছি, যাতে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে। আমরা মব জাস্টিস অ্যালাউ করতেছি না।’
পরবর্তীতে উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, সেনাবাহিনী সোমবার রাতে হানিফ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। হানিফ স্বেচ্ছাসেবক দলের উত্তরা পশ্চিম থানা শাখার নেতা। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, বিএনপির এক মামলায় আসামি হওয়ার পর সন্ধ্যায় উত্তরা এলাকা থেকে কে এম নূরুল হুদাকে কিছু ব্যক্তি জোরপূর্বক বাসা থেকে বের করে অপদস্থ করে। তার গলায় জুতার মালা পরানো হয় এবং ফেসবুকে লাইভ করা হয়। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় এবং রিমান্ডে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘তিন, চার দুইমাস আগে মব জাস্টিস যে পরিমাণ ছিল, এখন আর অতটা নাই। আমার অফিসাররা এক দুটি ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কারণে আমি তাদেরকে সাসপেন্ড করছি। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাতে কারও বাড়িতে আসামি আছে বলে তার বাড়িতে হানা দেওয়া, দরজা ভাঙা বা কিছু করা, এ ধরণের ঘটনা আমরা মোটেই গ্রহণ করতেছিনা।’
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান যেন কেউ আইন হাতে তুলে না নেয় এবং পুলিশের ওপর আস্থা রাখে। একইসাথে আন্দোলনের ক্ষেত্রে রাস্তাকে বেছে না নিতে অনুরোধ করে বলেন, ‘রাস্তায় কোনো ব্লক দিবেন না। মানুষকে দুর্ভোগ দিবেন না। সকলকে অনুরোধ করছি, প্লিজ আপনারা রাস্তাকে বেছে নেবেন না।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, তিনি নিজে অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবেও রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা টেবিলে বসার আহ্বান জানাবেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদেরকে খবর দেন, আমরা যাবো, আমরা ধরবো। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। আমরা কেউ আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার রাখি না।’
সংবাদচিত্র ডটকম/