আগামী রবিবার (১৬ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে (নাসিক) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কিভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট দিতে হয়, পরীক্ষামূলকভাবে আজ শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা। এর মাধ্যমে যন্ত্রটিতে কিভাবে ভোট দিতে হয় তা ভোটারদের শেখাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি’র নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, নাসিক-এর সকল ভোটকেন্দ্রেই ১৪ জানুয়ারি এই কার্যক্রম চলবে। এই জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়- প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত মক ভোটিং অনুষ্ঠানে সকল প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার উপস্থিত থেকে মক ভোটিং সম্পন্ন করবেন। মক ভোটিং শেষে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার ইভিএম উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বুঝিয়ে দেবেন।
প্রিজাইডিং অফিসারগণ ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন ভোটগ্রহণের জন্য ব্যবহৃতব্য ইভিএমসমূহ, বিভিন্ন কার্ড এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক দ্রব্যাদি রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে ম্যানুয়েলের নির্দেশনা অনুসারে প্রতিটি ভোটকক্ষে স্থাপন করে নির্বাচন উপযোগী করে বিকাল ৪টার মধ্যে কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করবেন।
এই সিটিতে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
ভোটের মাঠে মেয়র পদে ছয় জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জনসহ মোট ১৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।
মেয়র পদে ছয় জন প্রার্থী হলেন-
খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন,
স্বতন্ত্র থেকে বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার,
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ,
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন,
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস এবং
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
উল্লেখ্য গত ৩০ নভেম্বর এই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।
২০১১-এ সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এবার এই সিটিতে এটি তৃতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রথমবার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএম-এ, বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬-তে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।
সংবাদচিত্র/রেজা