এবারও নভেম্বর মাস জুড়ে কর অঞ্চলগুলোয় আয়কর দাতাদের সেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। সেই সঙ্গে এবছর অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার ওপরই তারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বলেও জানান।
রবিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে সেবা মাস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “আগামী ৩০ নভেম্বর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন। তাই এই মাসে যেন করদাতারা স্বাচ্ছন্দে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন, তার জন্য আমরা প্রতিটা কর অঞ্চলে সেবা মাস পালন করে থাকি।”
এখন থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এবছর আমাদের সেবার প্রতিপাদ্য হলো করদাতারা যেন ঘরে বসে ই-রিটার্ণ দাখিল করতে পারেন এবং তাদের সব ধরনের কর যেন তারা অনলাইনে পরিশোধ করতে পারেন সেই সুযোগ-সুবিধা দেওয়া।”
ভবিষ্যতে কাগজের মাধ্যমে আর রিটার্ন জমা নেওয়া হবে না বরং শতভাগ অনলাইননির্ভর হবে এই কাজ, সে প্রত্যাশাও করেন তিনি।
কর প্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি করদাতাদের সেবার মান নিয়ে যে অভিযোগ সেগুলো কমাতে চাইলে পুরো কর প্রশাসনকে ডিজিটাইজ করার কোনও বিকল্প নেই বলেও মনে করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “ডিজিটাইজেশনের প্রথম ধাপ হচ্ছে অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন চালু করা। এর অংশ হিসেবে সরকারি চাকরিজীবীসহ বেশ কয়েকটি পেশার জন্য অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
“মাত্র কয়েক ক্লিকে অননাইনে দেওয়া যাবে রিটার্ন। অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হচ্ছে।”
এখন প্রতিদিনই সাত থেকে আট হাজার ই-রিটার্ন জমা হচ্ছে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া চলতি করবর্ষে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। শেষের দিকে রিটার্ন দাখিলের পরিমাণ আরও বাড়বে।
অনলাইনে আয়করদাতাদের তথ্য নিরাপদ থাকবে বলেও জানান তিনি। এমনটি যারা এই প্রোগ্রামটি তৈরি করেছে, তারাও দেখতে পারে না বলে জানান।
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি শেখাতে সচিবালয় ও এনবিআর ভবনে আলাদা প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইন টিউটোরিয়ালও প্রকাশ করা হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
সংবাদচিত্র ডটকম/অর্থনীতি