দেশে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ক্ষুদ্রকণা নির্গত হচ্ছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ দেশে নির্দেশনা মেনে চললেও বাংলাদেশে তা মানছে না। ফলে বায়ু দূষণ বাড়ছে কয়েকগুণ।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বলছে, এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুর্বলতাও স্পষ্ট।
দেশে ১৫৩ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে কয়লাভিত্তিক সচল কেন্দ্র বড়পুকুরিয়া, পায়রা ও রামপাল। প্রস্তুত হচ্ছে মহেশখালীর মাতারবাড়ি। কয়লা পোড়ানোর কারণে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড ও বস্তুকণা নিঃসরণ হচ্ছে মারাত্মকভাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, বাতাসে পাঁচ মাইক্রোগ্রামের বেশি ক্ষুদ্রকণার উপস্থিতি স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৮০০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত সালফার ও নাইট্রোজেন, ক্ষুদ্রকণা ৫০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত নিঃসরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ দেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে চললেও বাংলাদেশে তা মানছে না।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষুদ্রকণা নিঃসরণের মাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটিও।।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থা নিজ দেশে একরকম আর বাংলাদেশে ভিন্ন নীতিতে চলছে। এ সুযোগ দিচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, ‘দেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী চালাতে হবে।’
সংবাদচিত্র ডটকম/পরিবেশ