বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের স্তম্ভ হয়ে ছিলেন বেশ লম্বা সময় ধরেই। তামিম-মুশফিক-সাকিব ছিলেন দলটির অন্যতম ভরসা। তাদের তিন জনকে ছাড়া শনিবার (৯ নভেম্বর) আফগানিন্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর পর এই তিন ক্রিকেটারকে ছাড়া কোনও ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামলো বাংলাদেশ।
আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে কিপিংয়ের সময় হাতের আঙুল ভেঙে যায় মুশফিকের। সেই ইনজুরির কারণে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দল থেকে ছিটকে যান তিনি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাকিব-তামিম কিংবা মুশফিক, তাদের একজনও দলে নেই। এই তিন ক্রিকেটার যখন থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলা শুরু করেছে, তারপর থেকে যেকোনও ওয়ানডেতে তাদের কেউ না কেউ দলে থাকতোই। বাংলাদেশের টানা ৩১০টি ওয়ানডে ম্যাচে এদের কেউ না কেউ দলে ছিলেনই।
সময়ের হিসেবে ১৮ বছরেরও বেশি সময় পর এই তিন ক্রিকেটারকে ছাড়া আজই (৯ নভেম্বর) প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ২০০৬ সালের ৪ আগস্ট, সাকিব ও মুশফিকের ওয়ানডে অভিষেকের ঠিক আগের ম্যাচ।
১৮ বছর আগে ২০০৬ সালে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়েতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেই সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৪ আগস্ট, স্কোয়াডে থাকলেও সেই ম্যাচের একাদশে জায়গা পাননি সাকিব-মুশফিক। পরে হারারেতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে সাকিব ও মুশফিকের ওয়ানডে অভিষেক হয় একসঙ্গে।
তিন জনের মধ্যে এই দজনের অভিষেক হয়েছে আগে। তাদের দুজনের অভিষেক থেকে শারজায় এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ পর্যন্ত খেলা বাংলাদেশের ৩১০টি ওয়ানডেতে তিনজনের কেউ না কেউ খেলেছেন। তামিম ইকবালের ওয়ানডে অভিষেক হয় ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
তামিমের অভিষেকের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম ওয়ানডে পর্যন্ত যে ৩১০টি ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে ১৮০টি ম্যাচে তামিম-সাকিব-মুশফিক একসঙ্গে খেলেছেন।
সংবাদচিত্র ডটকম/ক্রিকেট