দুর্নীতির মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ বেগম জ্যোতিকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে এই রায় দেন বলে দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান।
এর আগে গত বুধবার (১১ মে) একই আদালত জ্যোতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, দুর্নীতির অভিযোগে নূর আফরোজ বেগমের বিরুদ্ধে ৫৩ লাখ ২২ হাজার টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় দুদক। এই বিষয়টি অনুসন্ধানে পেয়ে দুদক তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে মামলা করে। এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।
এই মামলার গত বুধবার (১১ মে) যুক্তিতর্ক শুনানি ছিল। ওইদিন নূর আফরোজ বেগম জ্যোতির আইনজীবী সময় প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত এ আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সাথে এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ঘোষণা করা হয়।
রায়ে বিচারক দুর্নীতি দমন আইনের ২৬ এর (২) ধারায় আসামিকে দুই বছর জেল ও ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করেন। একইসাথে ২৭ এর (১) ধারায় তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের সাথে ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসময় সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে জ্যোতি জেলখানায় বিশেষ কোনো সুবিধার আওতায় আসবে কিনা তা জানতে চান তার আইনজীবীরা। জবাবে আদালত বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবে। এরপর আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা মহিলা দলের উপদেষ্টা। তিনি অষ্টম জাতীয় সংসদের মহিলা আসন-১ থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন।
সংবাদচিত্র/আইন ও বিচার