তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। তবে ডলার সংকটে বন্ধ কয়লা আমদানি। পাশাপাশি তরল জ্বালানি ও গ্যাস সংকটে কমেছে উৎপাদন। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, দিনে ২ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় অর্থনীতির স্বার্থে জ্বালানি আমদানিতে বিশেষ গুরুত্ব চাইছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঈদের আগে-পরে কয়েকদিন ছুটি এবং তাপমাত্রা কম থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো সাড়ে ৯ থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে। চাহিদামতো উৎপাদন থাকায় ছিলো না লোডশেডিং।
গত কয়েকদনি ফের তীব্র গরম। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। এতে বৈদ্যুতিক পাখা, শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি শিল্প কারখানা চাহিদা মেটাতে দরকার ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। অথচ উৎপাদন হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। তাই সারা দেশে হচ্ছে লোডশেডিং। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গ্রামাঞ্চলে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ২৪ এপ্রিল থেকে কয়লার অভাবে বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার গ্যাস, ডিজেল ও ফার্নেসওয়েল সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে পৌনে ১৪ শ মেগাওয়াটে নেমেছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, ডলার সংকটে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০ মাসের কয়লার বিল বকেয়া। মজুদ দিয়ে চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। ১৩২০ মেগাওয়াটের এ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন সচল রাখাই চ্যালেঞ্জ।
বাড়তি উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের যোগান নিশ্চিতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে দ্রুত ল্যান্ডবেজড এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, বিদেশে কয়লা খনি কেনার মতো পরামর্শ দিয়েছেন পর্যবেক্ষকেরা।
সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়