শত বছরের ইতিহাসে পাকিস্তানের মাটিতে মাত্র পাঁচটি টেস্ট জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার সবশেষ জয়টি এসেছিল ১৯৯০ সালের নভেম্বরে। সে দলে ছিলেন গর্ডন গ্রিনিজ, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশ, ইয়ান বিশপদের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। বর্তমান প্রজন্মের কেমার রোচ ছাড়া ক্যারিবিয় দলের সঙ্গে সফরে আসা বাকিদের কারও তখন জন্মই হয়নি। তবে এ তরুণরাই পাকিস্তানের মাটিতে সাদা পোশাকে জয় খরা কাটালো। প্রায় তিন যুগ পর এলো সে কাঙ্ক্ষিত জয়।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মুলতান টেস্টের তৃতীয় দিনে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ১২০ রানে হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। এ জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে সফরকারীরা। প্রথম ম্যাচে ১২৭ রানে জিতেছিল স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক এই জয়ের অন্যতম নায়ক জোমেল ওয়ারিকান। টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে তার উইকেট ৯টি। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৭ রান খরচে ৫ উইকেট পেয়েছেন ওয়ারিকান। তার ঘূর্ণিজাদুর সামনে দিনের প্রথম সেশনেই ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ।
ওয়ারিকানের তোপেই ১৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। আর তাতে ৩৫ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে জয়ের মুখ দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে ১৯৯০ সালের নভেম্বরে ফয়সালাবাদ টেস্টে ডেসমন্ড হেইন্সের নেতৃত্বে জয় পেয়েছিল ক্যারিবীয়রা।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৭৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল পাকিস্তান। অপরাজিত ছিলেন সৌদ শাকিল (১৩) ও কাশিফ আলী। এদিন সকালে মাত্র তিন বলের মধ্যেই বিদায় নিয়েছেন তারা। শাকিলকে ফেরান কেভিন সিনক্লেয়ার। পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে কাশিফের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন ওয়ারিকান। ফলে ৭৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
সকালেই অপরাজিত দুই ব্যাটারকে হারিয়ে পাকিস্তান শুধু হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টাই করে। ক্রিজে যদিও ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রান করা এ ব্যাটার সালমান আগাকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা দুজন মিলে যোগ করতে পারেন ৩৯ রান। কিন্তু ক্যারিবীয় স্পিনাররা তাদের সফল হতে দেননি।
সংবাদচিত্র ডটকম/ক্রিকেট