মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. জামায়াতকে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে আদালত কোনো পর্যবেক্ষণ দেননি: ইসির আইনজীবী

জামায়াতকে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে আদালত কোনো পর্যবেক্ষণ দেননি: ইসির আইনজীবী

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন, আপিল বিভাগের আজকের রায়ের ফলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ইসির দেওয়া নিবন্ধন বহাল রইল। তবে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে আদালত কোনো পর্যবেক্ষণ দেননি।

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে এক যুগ আগে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রবিবার এ রায় দেন। রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানান ইসির আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৮ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। এই নিবন্ধন দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে দলটিকে ইসির দেওয়া নিবন্ধন বহাল রইল। তবে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে আদালত কোনো পর্যবেক্ষণ দেননি।’

রায়ে আদালত বলেছেন, দলটির ক্ষেত্রে পেন্ডিং (অনিষ্পন্ন) রেজিস্ট্রেশন ইস্যু এবং অন্য কোনো ইস্যু যদি থেকে থাকে, তা সাংবিধানিক ম্যান্ডেট (বিচারগত ও আইনগত) পুরোপুরি প্রয়োগ করে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হলো।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের করা আপিল সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর এবং লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) নিষ্পত্তি করে এ রায় দেওয়া হয়। গত ১৪ মে দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ১ জুন তারিখ ধার্য করেছিলেন। সে অনুযায়ী আজ সকাল ১০টার পর রায় ঘোষণা করেন আদালত।

সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় (রুল অ্যাবসলিউট বা যথাযথ) দিয়েছিলেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ।

আজকের রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা ন্যায়সংগত হয়নি। এ অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে দেওয়া রায় ও আদেশ বাতিল করা হলো।

সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ফুল কোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে ‘দাঁড়িপাল্লা’ ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে একমাত্র সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে ব্যবহৃত হবে। অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে বা কোনো নির্বাচনে প্রার্থীর প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা বরাদ্দ প্রদান না করা এবং যদি বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে ওই বরাদ্দ বাতিল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবার বরাবর চিঠি পাঠানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ অনুসারে কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা বরাদ্দ না দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অধিকতর সংশোধন করা হয়, যাতে প্রার্থীর জন্য ৬৪টি প্রতীকের তালিকা রয়েছে। এতে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক উল্লেখ নেই।

ফুল কোর্ট সভার ওই সিদ্ধান্ত বাতিল বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী গত ১২ মে আপিল বিভাগে আবেদন দাখিল করে। দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিলের সঙ্গে আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। ১২ মে করা আবেদনটি প্রত্যাহার চেয়ে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিকারে নির্বাচন কমিশনের প্রতি পর্যবেক্ষণ চেয়ে ১৪ মে একটি আবেদন করে জামায়াতে ইসলামী।

রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, প্রত্যাহার আবেদন মঞ্জুর করা হলো কোনো পর্যবেক্ষণ ছাড়াই।
আদালতে আপিলকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক, ইমরান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ইসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

রায়ের পর আপিলকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন এবং অন্য যে ইস্যু নির্বাচন কমিশনের সামনে আসবে, সেগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করে। এখানে অন্য ইস্যু বলতে প্রতীক বোঝানো হয়েছে।

শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী তার নিবন্ধন ফিরে পেল এবং প্রতীকের বিষয়টিও নির্বাচন কমিশনের সামনে পাঠানো হলো অন্য ইস্যু হিসেবে। সংক্ষিপ্ত আদেশ চেয়েছি। সংক্ষিপ্ত আদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছে নিয়ে যাব। কমিশন অতিদ্রুত নিবন্ধন ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বুঝিয়ে দেবে বলে প্রত্যাশা করি।’

মামলার পূর্বাপর

২০০৮ সালের নভেম্বরে জামায়াতকে নিবন্ধন সনদ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে ইসির দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।

চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা ওই বছরই আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে দলটি।

তবে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে জামায়াত আবেদন করে, যা ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
এরপর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীর পক্ষে সেদিন কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন।

পরে দেরি মার্জনা করে আপিল ও লিভ টু আপিল পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে পৃথক আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর (রিস্টোর) করে আদেশ দেন।

এরপর জামায়াতের আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। গত ৩ ডিসেম্বর শুনানি শুরু হয়। আর প্রতীক বরাদ্দ বিষয়ে দলটি একটি আবেদন করে, যা ১২ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত আপিল ও লিভ টু আপিলের সঙ্গে শুনানির জন্য আবেদনটি ট্যাগ (একসঙ্গে) করে দেন। আগের ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে আজ রায় দেন আপিল বিভাগ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়।

সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়

ন্যূনতম আয়কর ৫০০০ টাকা, নতুনদের ১০০০

২ জুন, ২০২৫, ৫:৩২

৫০০, ২০০, ১০০ ও ১০, ৫ ও ২ টাকার নোটের নকশায় কী থাকছে

২ জুন, ২০২৫, ৫:২৬

৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা

২ জুন, ২০২৫, ৫:১৬

যাত্রাবাড়ীতে ভয়ংকর সড়ক দুর্ঘটনায় চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী

২ জুন, ২০২৫, ৫:১১

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন

২ জুন, ২০২৫, ৫:০৬

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ ১৯ জুলাই ন্যাশনাল কনভেনশন

২ জুন, ২০২৫, ৫:০০

ঢাকায় হামজা চৌধুরী, বিমানবন্দরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস

২ জুন, ২০২৫, ৪:৫২

এআই কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?

২ জুন, ২০২৫, ৪:২১

সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

২ জুন, ২০২৫, ৩:৫৭

ঈদে ১০ দিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি

২ জুন, ২০২৫, ৩:৫০

এলজিইডির এলকেএসএস’এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার নুরুল ইসলামের খুঁটির জোর কোথায়?

৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৭

৫০ টাকার নতুন নোট বাজারে আসছে

৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:৩৪

বন্ধ হয়ে গেছে দেশীয় এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের ফ্লাইট

২ মে, ২০২৫, ১০:৩৭

জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তায় থাকছে যেসব ব্যবস্থা

৫ মে, ২০২৫, ৫:৪৬

ক্রিকেটে অশ্লীলতা : ৬ অভিনেত্রী ও ৩ নির্মাতাকে লিগ্যাল নোটিশ

১৪ মে, ২০২৫, ৬:১৬

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

২ মে, ২০২৫, ৭:৪৫

স্বাস্থ্যের প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’র কারণে সরে গেছে বিশ্বব্যাংক, কাজ অসমাপ্ত

১৩ মে, ২০২৫, ১২:৪৫

ঈদের পর এখনো চালু হয়নি ১১ গার্মেন্টস

২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৩৭

সহকারী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৪৮

এলজিইডিতে সাবেক পৌর মেয়রকে আটকে রেখে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়

২৭ মে, ২০২৫, ১১:৩২


উপরে