টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণের ঘটনায় রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর আরো ৮ থেকে ১০ জনকে শনাক্তের দাবি করছে পুলিশ। অভিযোগের তীর এখন সুপারভাইজার রাব্বীর দিকে। তার ইঙ্গিতেই কয়েক ধাপে অন্তত ১৩ জনকে বাসে তোলা হয় বলে জানিয়েছে যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে রাজা মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশকে জানিয়ে আরো অন্তত ৮ থেকে ১০ জনের নাম বলেছে সে।
শনাক্তদের মধ্যে তিন–চারজন টাঙ্গাইল জেলার ও বাকিরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তবে তারা বসবাস করেন গাজীপুর, চন্দ্রা ও সাভার এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
ঘটনার দিন ঈগল এক্সপ্রেস নামে গাড়ির চালককে সরিয়ে ডাকাত দল বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে রাজা মিয়া ডাকাতি ও ধর্ষণ চলাকালে বাস চালিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
ওইদিন চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার নারী দিয়েছেন, ৪ জন মিলে হাত-পা বেঁধে তার ওপর চালানো সেই পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা।
এ ঘটনায় যাত্রীদের সন্দেহের তীর বাসের সুপারভাইজার রাব্বীর দিকে। মাঝ রাস্তায় তার কথায়ই বাস থামান চালক মনির। প্রথমে ৪ পরে ৩ ধাপে আরো অন্তত ৯ জন উঠে সেই বাসে।
ঘটনার পর মধুপুরে বাস ফেলে তারা পালিয়ে গেলে যাত্রীদের উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এক নৈশ প্রহরী জানিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগেরই গায়ে ছিল পোশাক, হাত আর চোখ-মুখ ছিল বাধা।
তবে চালক মনির ও সুপারভাইজার রাব্বীর কল লিস্টে সন্দেহজনক কিছু পায়নি পুলিশ। তবে তারা বা যাত্রীদের কেউ ডাকাতি-ধর্ষণে অভিযুক্তদের সঙ্গে জড়িত কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়া রাজা মিয়া এ ঘটনায় রিমান্ডে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশকে জানিয়েছে। সেই সাথে নাম বলেছে আরো অন্তত ৮ থেকে ১০ জনের। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। অন্যরা গ্রেপ্তার হলে এ চক্রের বিষয়ে আরো জানা যাব বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদচিত্র/অপরাধ