গত ৬৪ বছরে উল্লেখযোগ্য ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে সর্বাধিক ১৫টি হয়েছে মে মাসে। বর্ষা শুরুর আগে বঙ্গোপসাগরে সূর্যের খাড়া উপস্থিতির কারণে এসব ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মে মাস মানেই যেন ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার ভয়। ২০০৯ সালের ৫ মে মাসে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা।
২০১৩ সালের ১৬ মে মহাসেন নোয়াখালী চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। ২০১৬ সালের ২১ মে রোয়ানু, বরিশাল চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। ২০১৭ সালের ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় মোরা, আঘাত হানে চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূলে। ২০১৯ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণি।
২০২০ সালের ২০ মে আম্ফান। ২০২১ সালের মে মাসের শেষ দিকে ইয়াস ধেয়ে এসেছিল। ২০২২ সালের ৭ মে ধেয়ে এসেছিল অশনি।
২০২৩ সালের ১৫ মে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানে। আর ২০২৪ সালের ২৬ মে আঘাত হানলো মৌসুমী ঘূর্ণিঝড় রিমাল।
এছাড়া ১৯৬১, ১৯৬৫, ১৯৮৫, ১৯৯৪, ১৯৯৭, ১৯৯৮ এবং ২০০৪- এই বছরগুলোতে মে মাসে এক বা একাধিক সাইক্লোন আঘাত হেনেছে বাংলাদেশে। ১৯৬১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৬৪ বছরে উল্লেখযোগ্য ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে সর্বাধিক ১৫টি হচ্ছে মে মাসে।
মে মাসে কেন ছোট বড় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে
আবহাওয়াবিদদের মতে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে এপ্রিল ও মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সময়। বিদায় নেয় সেপ্টেম্বরে। বর্ষা আসার আগে ও পরে অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশ। তৈরি হওয়া নিম্নচাপ সম্ভাবনাকে বলা হয় সাইক্লোজেনেসিস। যার অন্যতম হলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণ তাপমাত্রা।
গরমকালে সমুদ্রের পানির ওপরের তাপমাত্রা অনেকটা বেশি থাকে। আর এই তাপমাত্রা বজায় থাকে পানির প্রায় ৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত। মূলত এ কারণে মার্চ এপ্রিল মে কোথাও কোথাও জুন মাসে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। বর্ষা চলে আসার পর এই পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
সংবাদচিত্র ডটকম/আবহাওয়া