ছুটির দিনগুলোতে একা, পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন এই রিসোর্টগুলো থেকে।
শহরের ব্যস্ততা আর যান্ত্রিক কোলাহল থেকে বিরতি নিয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার কাছেই চমৎকার কিছু রিসোর্টে। ঢাকা থেকে খুব বেশি দূরে না গিয়ে শহরের ঠিক বাইরেই রয়েছে সবুজের ছায়াঘেরা, শান্ত নিরিবিলি এসব রিসোর্ট। ছুটির দিনগুলোতে একা, পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন এই রিসোর্টগুলো থেকে।
ঢাকার কাছেই গাজীপুরের ভাওয়াল রাজাবাড়িতে অবস্থিত সারাহ রিসোর্ট। ঢাকা থেকে এখানে যেতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। ৩৫০ একর জমিতে নির্মিত এই রিসোর্টের টাওয়ার বিল্ডিংয়ে আছে ৯৬টি কক্ষ। এছাড়া রয়েছে ৬টি বাংলো, ওয়াটার লজ, লেকসাইড ভিলা, ভিলা সুট, ওয়াটার ফ্রন্ট ভিলা, মাড হাউজ ইত্যাদি। আরও আছে ওয়াটার স্পোর্টস, সাইক্লিং, বোটিং, কায়াকিং, আউটডোর স্পোর্টস, ৯ডি মুভি, ভিআর গেমস, সুইমিংপুল সহ নানা বিনোদন সুবিধা। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমন্বয়ে এ রিসোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা
ঢাকা থেকে ৩১ মাইল দূরে গাজীপুরের নলজানি গ্রামে ভাওয়াল রিসোর্টের অবস্থান। শালবনের ভেতরে সবুজের ছায়াঘেরা এই রিসোর্টে রয়েছে বিশাল সুইমিংপুল যা এখানকার মূল আকর্ষণ। এখানে ৬২টি ফ্যামিলি ভিলাসহ রয়েছে জিমনেসিয়াম, স্পা, সাইক্লিং, বার্বিকিউ সহ নানা সুযোগ সুবিধা। সবুজে বেষ্টিত নান্দনিক এই রিসোর্টটি ছুটি কাটানোর জন্য চমৎকার একটি জায়গা।
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত নক্ষত্রবাড়িতে রয়েছে সুইমিংপুল, ওয়াটার বাংলো, কটেজ, হোটেল বিল্ডিং, ডাইনিং এবং কনফারেন্স হল। পরিচালক এবং স্থপতি তৌকির আহমেদ ও তার সহধর্মিণী নাট্যকার এবং চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত ২০১১ সালে ২৫ বিঘা জমির ওপরে নক্ষত্রবাড়ি গড়ে তোলেন। নক্ষত্রবাড়ির মূল আকর্ষণ হলো বাঁশ ও কাঠ দিয়ে গড়ে তোলা ১১টি কটেজ বা ওয়াটার বাংলো। এখানে বোটিং এবং মাছ ধরার ব্যবস্থা রয়েছে। এই রিসোর্টে প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক উপাদান প্রাধান্য পেয়েছে। শহর থেকে দূরে সবুজের মাঝে প্রকৃতির কাছাকাছি কিছু সময় কাটাতে চলে যেতে পারেন নক্ষত্রবাড়িতে।
ছুটি রিসোর্ট
ছুটি রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে গাজীপুরের সুকুন্দি গ্রামে। ভাওয়াল রাজবাড়ী ও ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এই রিসোর্টে প্রকৃতি প্রাধান্য পেয়েছে। গ্রামীণ আবহে তৈরি এই রিসোর্টে রয়েছে ছনের তৈরি ঘর, পিকনিক স্পট, সুইমিং পুল, মাছ ধরার ব্যবস্থা, বাচ্চাদের খেলার জায়গা সহ নানা কিছু। পরিবেশবান্ধব ও প্রকৃতির কাছাকাছি এই রিসোর্টে ডে ট্রিপেরও ব্যবস্থা রয়েছে। নৌ ভ্রমণ এবং সংরক্ষিত বৃক্ষের বনে তাবু টানানোর ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এছাড়াও পূর্ণিমা রাতে জোছনা উপভোগ করার জন্য এই রিসোর্টে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
জিওন রিসোর্ট
ঢাকা থেকে খুব কাছে আমিনবাজারে জিওন রিসোর্ট অবস্থিত। এখানে রয়েছে একটি সুইমিংপুল, বাচ্চাদের খেলার জায়গা ও একটি মিনি চিড়িয়াখানা। ডে ট্রিপ অথবা রাতে অবস্থানের জন্য জিওন রিসোর্ট হতে পারে আপনার গন্তব্যস্থল।
ঢালি’স আম্বার নিবাস
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রায় ২০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে ঢালি’স আম্বার নিবাস। ছুটি কাটানোর জন্য প্রকৃতির কাছাকাছি অনিন্দ্যসুন্দর এই রিসোর্টটি হতে পারে আপনার গন্তব্য। এখানে রয়েছে ২৬ হাজার বর্গফুটের একটি সুবিশাল সুইমিংপুল। দেশের অন্যান্য রিসোর্টগুলোর সুইমিং পুলের তুলনায় এটি সবচেয়ে বড়। এছাড়া এখানে শুধুমাত্র নারীদের জন্য আলাদা সুইমিংপুল রয়েছে। আরও রয়েছে কটেজ, বোটিং, মাছ ধরার ব্যবস্থা, বাচ্চাদের খেলার জায়গা সহ নানা কিছু৷
মাওয়া রিসোর্ট
রাজধানী থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দূরে মুন্সিগঞ্জে এই রিসোর্টটি গড়ে তোলা হয়েছে। সবুজে ঘেরা এই রিসোর্টটিতে খুব কম খরচেই ঘুরে আসা যায়। এখানে বোটিং সহ অবসর কাটানোর জন্য রয়েছে নানা ব্যবস্থা।
রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট
গাজীপুরের ভবানীপুরে সবুজে ঘেরা শালবনের মাঝে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে রয়েছে অনেকগুলো কটেজ। প্রতিটি কটেজের ছাদে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার যেখান থেকে সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এছাড়া লেকে মাছ ধরা, সাইকেল চালানো সহ বাগান ঘুরে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকার কাছেই গ্রামীণ প্রকৃতির আবেশ পেতে চাইলে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট হতে পারে আপনার গন্তব্য।
সংবাদচিত্র ডটকম/ভ্রমন