জ্বালানি তেল ও গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে হচ্ছে। তাই লোডশেডিং সংকটের সমাধান হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে আগামী মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা তার।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সংকট বাড়ছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে। অতিরিক্ত দামের কারণে চাহিদামত জ্বালানি তেল ও গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না বিদ্যুৎ খাতে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রপ্তানিমুখী শিল্পখাতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ডিজেল ও ফার্নেস তেল থেকে আসছে সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। জ্বালানি সংকটের কারণে প্রায় ৪ হাজার মেগাওয়াট কমেছে উৎপাদন। এতে সারা দেশেই কয়েক দফা লোডশেডিং হচ্ছে।
নভেম্বর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমি আশা করছি। আমি চেয়েছিলাম অক্টোবর থেকে ভালো পরিস্থিতি হয়ে যাবে। কিন্তু এখন দেখলাম না। কারণ, ইন্ডাস্ট্রিতে ডিমান্ড বেড়ে গেছে। তাই আমরা বিদ্যুতে গ্যাস কমিয়ে দিয়েছি। আর কমিয়ে দেওয়ার কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
এ সময় করোনার পর শিল্পকারখানায় উৎপাদন বেড়ে গেছে বলেও জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। আশুগঞ্জ সাব স্টেশন বিকল হওয়ায় ঢাকায় কয়েকশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়