যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছে ইরান। তাদের অভিযোগ, মার্কিন বোমা হামলায় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ আল মায়াদিন টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ইরানকে পারমাণবিক স্থাপনায় হওয়া ক্ষতিপূরণ ওয়াশিংটনকে দিতে হবে।’
গত ১৩ জুন ইসরায়েল প্রথম হামলা চালিয়ে সংঘাতের সূচনা করে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরান পাল্টা প্রতিশোধ নেয়। এরপর কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে পাল্টাপাল্টি হামলা।
২২ জুন ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর জবাবে ২৩ জুন সন্ধ্যায় তেহরান কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি আল উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, ইসরায়েল ও ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলও জানায়, তারা মার্কিন প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। অন্যদিকে তেহরান দাবি করে, তারা ইসরায়েলের আগ্রাসন থামাতে বাধ্য করে বিজয় অর্জন করেছে।
সাঈদ খাতিবজাদেহ বলেন, ‘২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি যুদ্ধ বন্ধ করে দিয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বার্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই পাঠিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরানি জাতি প্রতিরোধের মাধ্যমে জায়নিস্ট সরকারের ওপর তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়েছে এবং শত্রুকে একতরফাভাবে তাদের আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করেছে।’
তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইরানকে বিভিন্ন বার্তা পাঠালেও তেহরান তা প্রত্যাখ্যান করে জানায়, আগে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। খাতিবজাদেহের ভাষায়, ‘ইরান জায়নিস্ট সরকারের সাথে এমন কোনো লিখিত চুক্তি করেনি, যাতে নির্দিষ্ট কিছু ধারা থাকতে পারে। যা ঘটেছে তা হলো জায়নবাদের আগ্রাসন বন্ধ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও হামলা চালাবে না।’
সংবাদচিত্র ডটকম/আন্তর্জাতিক