কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে চারটি মাজারে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ২ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে চারটি মাজারে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ২ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হাত মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় একটি মাজার সংলগ্ন তিনটি ঘরেও আগুন দেয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ৩৫ বছর বয়সী মো. মহসীন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মহসীন হোমনার ফকিরবাড়ির আলেক শাহর ছেলে।
এসআই তাপস বলেন, মব সৃষ্টি করে ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ২২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা মামলার তদন্ত শুরু করেছি। কিছুদূর কাজ করি, তারপর বিস্তারিত বলা ঠিক হবে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি আইডি থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) কটূক্তি করে একটি পোস্ট দেয়া হয়। এতে এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হন। তখন তারা মহসীনের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের মুখে পুলিশ মহসীনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওই দিন সন্ধ্যায় ‘বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনা’ হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম মহসীনের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হোমনা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহসীনকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়।
শুক্রবার সকালে হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে আসাদপুর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংবাদচিত্র ডটকম/অপরাধ