আমদানিকৃত পণ্যে কিউআর কোড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১০ আইনজীবী রিটটি দায়ের করেন।
জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১০ আইনজীবী রিটটি দায়ের করেন। রিটে বাণিজ্য সচিব, অর্থ সচিব, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালকসহ ছয়জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
রিটে আমদানিকৃত পণ্যে ভোক্তা অধিকার রক্ষা, রাজস্ব ক্ষতি প্রতিরোধ এবং জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ সুরক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন যাচাইকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং কিউআর কোড সংযুক্তকরণ কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, এবং কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানিয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়।
বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফ সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানান এর আইনজীবীরা।
রিট আবেদনকারী ১০ জন আইনজীবী হলেন, মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া, মো. রোকনুজ্জামান, রাগিব কবির, আবু শাহেদ, রেহেমিন চৌধুরী, আরফান সুলতানা, মো. সাইফুল ইসলাম, হাসান ইসহাক ভূঁইয়া, মো. আরিফ চৌধুরী এবং উম্মে আইমান জেনিব।
এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একজন আইনজীবী বলেন, আমদানি করা পণ্যের সঠিক যাচাইকরণ না থাকায় বাজারে ভুয়া ও ক্ষতিকর পণ্য ঢুকে পড়ছে, যা সরাসরি শিশুদের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। একটি কেন্দ্রীয় যাচাইকরণ ব্যবস্থা ও কিউআর কোড বাধ্যতামূলক করলে এই অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব।
সংবাদচিত্র ডটকম/আইন ও বিচার