বন্ধ থাকা সকল পোশাক কারখানা বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এ তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় বন্ধ থাকা দেশের সকল পোশাক কারখানা বুধবার থেকে চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মালিকরা চাইলে কারখানা খুলতে পারবেন।
এ ছাড়া নির্ধারিত মজুরি মেনে নিয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
এদিকে পোশাক খাতের চলমান অস্থিরতা নিয়ে ইউইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সন্ধ্যায় আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বিজিএমইএ নেতাদের।
এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) পোশাক শিল্পের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি সম্পর্কে সংগঠনটির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের জেরে এখন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরে ১০২টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।
কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার সবার সহযোগিতায় ৩টি পোশাক কারখানা বাদে সব কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে আশুলিয়া ও মিরপুরের প্রায় ৯৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। এই কারখানাগুলোতেও আলোচনা চলছে। শ্রমিকরা কাজ করতে চাইলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানাগুলো খুলে দেয়া হবে।
এ ছাড়া পোশাক শিল্প-অধ্যুষিত অন্যান্য এলাকা যেমন: টঙ্গী, গাজীপুর, শ্রীপুর, মাওনা, ময়মনসিংহ, সাভার, ইপিজেড, নারায়ণগঞ্জ, ডিএমপি, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার সব পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে এবং সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় আছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে, শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী গুরুত্বপূর্ণ খাত পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে কারখানাগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে ইতিবাচক জনমত প্রচার করে গণমাধ্যমগুলো শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও জানায় বিজিএমইএ। একই সঙ্গে পোশাক শিল্পে সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় রেখে শিল্পকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, সরকার, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, শিল্প পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় জনসাধারণ সবার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
সংবাদচিত্র ডটকম/ব্যবসা বাণিজ্য