ওয়াকিটকি কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (১৭ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় দুদক।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও একটি দেশি প্রতিষ্ঠানকে ওয়াকিটকি সরবরাহের কাজ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানটি একটি চীনা কোম্পানির সনদ ব্যবহার করেছে।
অভিযান পরিচালনাকারী দুদক দল ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে। তারা প্রকিউরমেন্ট-সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংগ্রহ করেছে।
প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএনসিসির ক্রয়কৃত ওয়াকিটকির দাম অন্যান্য সরকারি সংস্থার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব রেকর্ডপত্র দুদক টিমের কাছে চাওয়া হয়েছে। যাচাই শেষে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে টিমটি।
অন্যদিকে, ঘুষের বিনিময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী সাবরেজিস্ট্রি অফিসেও অভিযান চালায় দুদক। অভিযোগের ভিত্তিতে বাউনিয়া মৌজার প্রায় ১০ শতাংশ জমির রেজিস্ট্রেশন দলিল, খতিয়ান, দাখিলা ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জমিটি ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। খতিয়ান অনুযায়ী এটি পুকুর শ্রেণিভুক্ত হলেও খাজনা রসিদে বাণিজ্যিক শ্রেণিভুক্ত দেখানো হয়েছে। একই জমি ২০১২ সালে পুকুর (বাণিজ্যিক) শ্রেণিতে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। হঠাৎ শ্রেণি পরিবর্তনকে অস্বাভাবিক মনে করছে দুদক টিম।
দুদক জানিয়েছে, এই অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে অতিরিক্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হবে। সব তথ্য যাচাই করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে তদন্ত দল।
সংবাদচিত্র ডটকম/দুদক