করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে মৃদু হিসেবে বিবেচনা করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক সংস্থাটি বলেছে, এই ধরনে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, যদিও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টা’র তুলনায় কম গুরুতর বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য, কিন্তু এর মানে এই নয় যে এই ভ্যারিয়েন্টটিকে মৃদু হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হবে।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতোই ওমিক্রনে আক্রান্ত মানুষদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে এবং এর প্রভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মূলত আক্রান্তের এই ঢেউ এতোই বিশাল এবং এতোটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে এটি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রবল চাপের মুখে ফেলেছে।
গেব্রিয়াসুস বলেন, ওমিক্রন অত্যন্ত সংক্রামক এবং দুই ডোজ টিকা দেয়া হলেও মানুষ এতে সংক্রমিত হতে পারে। এরপরও ভ্যাকসিন দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনার গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে, ফলে আপনার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে রিপোর্ট করা হয়েছে এবং ওই দিন ২৩১ জন কোভিডের নানা জটিলতায় মারা গিয়েছেন। কোভিডের কারণে কর্মীদের অনুপস্থিতি এবং ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ‘গুরুতর পরিস্থিতি’ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান এই সপ্তাহে সতর্ক করেছেন, জানুয়ারি মাসে হাসপাতালগুলোকে বেশ কঠিন সময় পার করতে হবে।
তিনি আরও বলেছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় চিকিৎসা নিলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সময় আইসিইউ-তে রোগীর চাপ অনেক বেশি ছিলো। ফ্রান্স বৃহস্পতিবার ২ লাখ ৬১ হাজার জনের আক্রান্তের খবর রিপোর্ট করেছে।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুচ্চি বলেছেন, দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত চাপের মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশটিতে নয় হাজারের বেশি আক্রান্তের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে।
দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোকে সহায়তা করতে সেখানকার মানুষদের মধ্যে বড় আকারে টিকা বিতরণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
সংবাদচিত্র/আন্তর্জাতিক