২০০৮ সালের বাংলাদেশকে ২০২৩ সালের বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করলে উন্নয়নের বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অতি দরিদ্রের হার ৫.৬-এ নেমে এসেছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী দিনে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৫ মে) জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় আজ আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী দিনে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ শুরু করেছি। এটা আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতেও কাজ করছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কাজ করে বলেই, সবাই তার পেছনে লাগে। তবে আমরা দমে যাইনি। আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিশ্চিত করেছি। পরবর্তীতে স্যাটেলাইটসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছি।
তিনি বলেন, আজ গ্রামের কৃষকরাও ফোনের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক সেবা নিতে পারছেন। ডিজিটাল সেবা সেন্টার থেকে তারা দ্রুতই সেবা পাচ্ছেন। এরমধ্য দিয়ে সবক্ষেত্রেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল গড়তে সরকার ন্যানো টেকনোলজি বিষয়ক গবেষণা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, ইনকিউবিশন সেন্টার নির্মাণসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ লার্নিং অ্যান্ড আর্নিংয়ের মাধ্যমে তরুণদের আয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে। ওয়াইফাইসহ উন্নত ইন্টারনেট সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজ প্রযুক্তির সুবিধা আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহারে বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা এখন সরাসরি প্রান্তিক সুবিধাভোগীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা সবই ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় আনা হচ্ছে। এখন যেকোনও সমস্যার সমাধানে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তাও নিমিষেই নেয়া যাচ্ছে।
পুরো জনগোষ্ঠিকে স্মার্ট করে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে অর্থনীতিও স্মার্ট হয়ে উঠবে জানিয়ে তিনি বলেন এভাবেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। এই দেশে সবাই হবে স্মার্ট। এটাই আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় আছি, নয়তো নেই। পার্লামেন্টের কেউ যদি নির্বাচনকালীন সরকারে আসতে চায়, আসবে। কোনো সমস্যা নেই।’
তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি চেষ্টা করা হলে কঠোরভাবে দমনের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা জ্বালাও-পোড়াও করলে কোনও ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি কার টাকায় এত আন্দোলন করছে, এসব টাকা তারা কোথায় পাচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়