শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে এডিসি হারুনের মারধরের ঘটনায় গঠিত কমিটি দুই দিনেও তেমন কোনো তথ্য বের করতে পারেনি। এ জন্য আরও পাঁচ দিন সময় বাড়িয়ে দেয়ার আবেদন করেছে তারা।
গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। তবে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় চেয়ে ডিএমপি কমিশনার বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউ মার্কেট জোন) শাহেন শাহ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি দুই দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে। তবে সেটি সম্ভব হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ, সাক্ষ্যগ্রহণ, জিজ্ঞাসাবাদসহ অনেক কাজ বাকি।’
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ডিএমপি সদর দপ্তরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফকে। দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।
গত শনিবার রাতে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানা হেফাজতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী দুজন হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম।
শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় তাদের নির্যাতনের পর মারধর করা হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশ কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, এডিসি হারুন ওই রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। তখন তাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়।
পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। এরপর অবস্থা খারাপ হলে ওই দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংবাদচিত্র ডটকম/ডিএমপি