নগরীর কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমেছে। ফলে নানা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া লোকজনকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত থেমে থেমে আবার কখনও ভারী বৃষ্টিপাত হয়। মাঝে কিছুক্ষণ থেমে আবার দুপুর ২টার দিকে বৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, চকবাজার, বাকলিয়া, বাদুরতলা, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ এলাকা, হালিশহর বড় পোলসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া নগরীর অধিকাংশ সড়ক কাদাপানিতে একাকার হয়ে উঠেছে। এসব সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাফেরা করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
নগরীর মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টিতে মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়কের সংগীত, হামজারবাগ, আতুরার ডিপো ও রৌফবাদসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পানি জমে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। সংগীত থেকে জাঙ্গালপাড়ার অভ্যন্তরীণ সড়কটি কাদাপানিতে একাকার হয়ে উঠেছে। যে কারণে এই সড়ক দিয়ে সামান্য বৃষ্টিতেও হাঁটাচলা কষ্টকর হয়ে পড়ে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ফরিদারপাড়া, চান্দগাঁও আবাসিক, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাড়ইপাড়া, ডিসি রোড, বাকলিয়া, চকবাজার কাঁচাবাজার, রহমতগঞ্জ, আতুরার ডিপো এলাকার রাস্তাঘাট ও অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এসব এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
নগরের চকবাজার কাঁচাবাজার এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমেছে। এতে দোকানি ও ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা ভেসে এসেছে উল্লেখ করে ওই এলাকা বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এক ঘণ্টার সৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। সামনে বর্ষা মৌসুমে আরও বেকায়দায় পড়তে হবে।’
আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শ্রীকান্ত কুমার বসাক বলেন, ‘দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ুচাপের কারণে আরও কয়েকদিন এই রকম থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।’
সংবাদচিত্র ডটকম/সারাদেশ