ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে একাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এরমধ্যে রাজধানী তেহরানের একাধিক স্থানে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তারা। এতে অন্তত ৭৮ জন নিহত ও ৩২৯ জন আহত হয়েছেন।
যদিও হতাহতের এই সংখ্যা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি ইরান সরকার। একাধিক ইরানি সংবাদমাধ্যমের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আনাদুলো নিউজ এজেন্সি।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতভর ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্ব দিকে বিমান হামলা চালানো হয়। পরে ইরানের আরও কয়েকটি প্রদেশে হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এই হামলায় বিশেষ করে ইরানের সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব এবং দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়।
ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী পরমাণু বিজ্ঞানীর প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ইসরায়েলের হামলার জবাব দিতে ইরান শতাধিক ড্রোন অ্যাটাক করে পালটা হামলার চেষ্টা চালালেও তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। বেশিরভাগ ড্রোনই ইসরায়েল এবং জর্ডানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঠেকিয়ে দিয়েছে।
টাইমস অব ইসরাইলের বরাত দিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ জানিয়েছেন, ইরানে বিমান হামলা চালানোর পর পুরো ইসরায়েলজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ইসরায়েলের সাধারণ নাগরিকদের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার।
ইসরায়েলের বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফজল শেকারচি বলেছেন, মার্কিন সহায়তায় চালানো এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে নির্মম পরিণতি ভোগ করতে হবে।
সংবাদচিত্র ডটকম/আন্তর্জাতিক