ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের কোনো ধরনের যৌক্তিকতা নেই এবং ইরানি জনগণকে সহায়তা দিতে মস্কো প্রস্তুত। সোমবার ক্রেমলিনে এ বৈঠকের শুরুতে পুতিন এ মন্তব্য করেন, যা আল জাজিরা নিশ্চিত করেছে।
এ সময় আরাগচি ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানানোয় পুতিনকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, রাশিয়া ইতিহাসের সঠিক পাশে রয়েছে। তিনি পুতিনকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনি এবং প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শুভেচ্ছা বার্তাও পৌঁছে দেন।
এদিকে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আরাগচির এ সফরের দিকে বিশ্বের দৃষ্টি রয়েছে। সূত্রমতে, খোমেনি একটি চিঠি পুতিনের কাছে পাঠিয়েছেন, যাতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিপরীতে রাশিয়ার সক্রিয় ভূমিকা চাওয়া হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, ইরান আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মস্কো আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নিক। তবে ইরান ঠিক কী ধরনের সাহায্য চাইছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ইরান ও রাশিয়া নিজেদের অবস্থান সমন্বয় করছে। পুতিন এর আগে একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্র-ইরান মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখতে আগ্রহী ছিলেন এবং ইরানে বেসামরিক পরমাণু কার্যক্রম চালিয়ে যেতে মস্কো-ওয়াশিংটন সমাধান প্রস্তাব দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলেও, রাশিয়া ও অন্যান্য বিশ্বশক্তি এ চুক্তি বহাল রাখে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ার সম্ভাবনার মধ্যে ইরানকে বড় ধরনের সামরিক সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
সংবাদচিত্র ডটকম/আন্তর্জাতিক