ইউক্রেনকে দীর্ঘ পাল্লার রকেট দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগুনে ঘি ঢালছে বলে অভিযোগ করেছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত মস্কো এবং ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়াবে বলেও মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার ইউক্রেনকে দূরপাল্লার আর্টিলারি রকেট দেয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই অস্ত্র রাশিয়ায় হামলার জন্য না বরং ইউক্রেনের মাটিতে প্রতিরক্ষার জন্য ব্যবহার হবে। রাশিয়াকে লক্ষ্য করে নয়। ওয়াশিংটন ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে কোন ধরনের যুদ্ধ চায় না বলেও জানান তিনি।
বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে রাশিয়ার অভিযোগ, ওয়াশিংটন পরিস্থিতিকে আরও উস্কে দিচ্ছে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে।
ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত রকেট সিস্টেম এবং যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত মস্কো এবং ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এই অস্ত্র সরবরাহ, কিয়েভ-মস্কো বৈঠকের জন্য হুমকি স্বরূপ, বলছেন ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। এসময়, রাশিয়ার দখল করা খেরসন, জাপোরিঝিয়া এবং দনবাসের জনগণকে তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই নিয়মিত প্রতিরোধ যুদ্ধে রুশ সেনা হতাহতের তথ্য দিয়ে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার স্বীকার করলেন রুশ হামলার ইউক্রেনীয় সেনা নিহতের তথ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজম্যাক্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে ৬০ থেকে ১শ সেনা।
অন্যদিকে, সেভেরোদনেতস্কের ৬০ ভাগই এখন রুশ বাহিনীর দখলে বলে জানিয়েছে শহরটির মেয়র। রুশ বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে শহরটির একটি রাসায়নিক কারখানায় আশ্রয় নিয়েছেন বহু সংখ্যক ইউক্রেনীয় নাগরিক।
রুশ বাহিনী কিয়েভ ছাড়ার এক মাস পরেও বিভিন্ন স্থানে কবর খুঁজে পাচ্ছেন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য জানায়। এদিকে ইউক্রেনের জন্য ৭০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহযোগিতা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সংবাদচিত্র/আন্তর্জাতিক