ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছের একটি সামরিক কারখানাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এর আগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে একটি রুশ যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিল কিয়েভ।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাশিয়া বলছে, প্রতিবেশী দেশটিতে তারা বড় ধরনের হামলা অব্যাহত রাখবে। রাতে রুশ হামলায় কিয়েভের আন্তর্জাতিক ঝুলিয়ানি বিমানবন্দরের কাছে ভিজার চুল্লিতে একটি কারখানা ও প্রশাসনিক ভবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরেজমিনে হাজির হয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিক ঘটনাস্থল প্রত্যক্ষ করেছেন।
এর আগে রাশিয়া জানিয়েছিল, সামরিক কারখানায় আঘাত হানতে তারা সমুদ্রভিত্তিক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ক্যালিবর ব্যবহার করছেন। কারখানাটিতে নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করা হত।
কিয়েভ বলছে, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার একটি রণতরীতে তারা হামলা চালিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া বলছে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি মেরামতের জন্য তীরে টেনে তোলার সময় সাগরে ডুবে গেছে। সেটি থেকে ৫০০ নাবিককে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেকসান্দ্র মোতুজিনস্ক বলেন, সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মারিউপুলে দীর্ঘ-পাল্লার বোম্বার ব্যবহার করেছে রাশিয়া। রাশিয়া এখন মারিউপুল, পোপাসনা ও রুবিজনি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটে পড়েছে ইউরোপ।
এদিকে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। এই দুই নর্ডীয় দেশ দীর্ঘদিন ধরে সামরিকভাবে নিরপেক্ষ ছিল। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পর সেই অবস্থান থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেন, সিদ্ধান্ত নেবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিণতি সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার।
সংবাদচিত্র/আন্তর্জাতিক