কানাডার টরোন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপতালের ভর্তি করা হয় জনপ্রিয় গায়ক কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে’কে। স্থানীয় সময় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় টরোন্টোর ৪২৭ সাউথ বাউন্ড হাইওয়ে ডানডাস এক্সিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার খবর শুনে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কানাডার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন কুমার বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী নাইমা সুলতানা।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় তিনি কানাডার টরন্টোতে পৌঁছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে ১১টায় কানাডার টরেন্টো থেকে এক গণমাধ্যমকে কুমার বিশ্বজিৎ ছেলের সর্বশেষ অবস্থার কথা জানান।
তিনি বলেন, ’নিবিড়ের চিকিৎসার এখনো দুইটা স্টেজ আছে। সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় যদি সেই দুটি স্টেজ সুন্দরভাবে পার করে আসতে পারি, তখন বলব, শতভাগ সফল।’
দুইটা পর্যায় কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুইটা স্টেজের মধ্যে আছে স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার এবং জ্ঞান ফিরে পাওয়ার বিষয়টি। ওর শরীরে ব্যথা আছে। এর মধ্যে আজ রাতে (কানাডা সময় বুধবার দিবাগত রাত) পাকস্থলীর একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে।’
কুমার বিশ্বজিৎ আরও জানান, দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর নিবিড়ের শরীরে দুটো অস্ত্রোপচার হয়েছে। প্রথমটা মস্তিষ্কে, মস্তিষ্কে যে রক্ত জমাট ছিল, তা বের করা হয়েছে। আর দ্বিতীয়টা পাকস্থলীতে। আরও কয়েকটা স্টেজ রয়ে গেছে। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
কুমার বিশ্বজিৎ আরও জানান, ‘নিবিড়ের আরও একটা অস্ত্রোপচার হতে পারে। চিকিৎসকেরা ভাবছেন, ওর একটা স্ট্রোকও হয়তো হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে এবং জ্ঞান ফিরলে সবার শেষে এই অস্ত্রোপচার করা হবে।’
কুমার বিশ্বজিৎ বললেন, নিবিড়ের অবস্থা এখন অপরিবর্তিত। কোনো অবনতি নেই। কানাডার ডাউন টাউনের সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। আর নিবিড়ের সার্জারির দায়িত্ব যিনি আছেন, তিনি নিউরোর বেস্ট সার্জন।
কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। পড়াশোনার জন্য থাকেন কানাডায়। সেখানেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছেন গুরুতর আহত।
সংবাদচিত্র ডটকম/প্রবাস সংবাদ