অনশনসহ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলনের পর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েও বাদ পড়া ১৬২ জন প্রার্থী অবশেষে চাকরি পাচ্ছেন।
তাদের নিয়োগ দিয়ে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে বিএসএস ক্যাডার সার্ভিসের ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া ৬৫ জন এবারও বাদ পড়েছেন।
২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় নিয়োগের প্রজ্ঞাপন থেকে ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ২২৭ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
ওই প্রজ্ঞাপনে প্রথম দফায় নিয়োগের জন্য সুপারিশ পাওয়া ২ হাজার ১৬৩ জনের মধ্যে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগের জন্য দ্বিতীয় দফায় প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
চলতি বছরের প্রথম দিন, অর্থাৎ গত ১ জানুয়ারি থেকে এসব প্রার্থী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।
সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল থেকে বাদ পড়া কয়েকজন প্রার্থী নিয়োগ পেতে এবং ভেরিফিকেশন নীতি প্রণয়নের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন।
এর আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব প্রার্থীর বাদ পড়ার পর গত ২ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছিল, ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়া ২২৭ জন প্রার্থী ‘গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িক অনুপযুক্ত’ হয়েছেন। তাদের পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগও দেওয়া হয়েছিল।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসি।
ভেরিফিকেশন শেষে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর ২ হাজার ৬৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রথম গেজেট প্রকাশ করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এরপর ৩০ ডিসেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে প্রথম সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়