কুড়িগ্রামে অন্যের সন্তানকে নিজের দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়া স্কুলশিক্ষিকা আলেয়া সালমা শাপলাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর (৩) ধারায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে ২ সেপ্টেম্বর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিবেশির সন্তান দেখিয়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করার সংবাদ প্রকাশ হলে নড়চড়ে বসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর ঘটনা তদন্তে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম তৌফিকুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় কমিটি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ছুটি নেওয়ার বিষয়ে যারা ওই শিক্ষিকাকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকেও বিচার আওতায় আনা হবে।’
আলেয়া সালমা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মনিয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত। তার স্বামী শফি আহমেদ স্বপন বগুড়ার গাবতলী উপজেলা কাগইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়কও। অভিযুক্ত শিক্ষিকা তার এক প্রতিবেশির সন্তানকে নিজের দেখিয়ে চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি নেন। ওই শিশুটি তাদের প্রতিবেশি আনিছুর রহমান পাশা ও শারমীন দম্পতির।
সংবাদচিত্র ডটকম/সারাদেশ