হাইকোর্ট রাজধানীর তেজগাঁও এবং হাতিরঝিল এলাকায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দেওয়া ৪৩৫ প্লটের যাবতীয় নথি তলব করেছেন। এসব প্লটের নকশা এবং বর্তমান অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করে ছবিসহ প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নির্দেশ তামিলের জন্য বলা হয়েছে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের বেঞ্চ।
আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে প্লট গ্রহীতার পক্ষে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, আইনজীবী মোশারফ হোসেন সরদার ও আব্দুল আলীম এবং রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার নজরুল ইসলাম শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে দুই শতাধিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়মনীতি ও আইনের তোয়াক্কা না করেই ১৯৫০ সাল থেকে এসব প্লট বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়। ওই এলাকায় ২০১১ সাল পর্যন্ত সরকারের শত শত বিঘা জমি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাজারদরের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করা হয়।
এর পরেই ২০১২ সালে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারি করেন। তখন প্লটের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া ও তাঁর ছেলে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী নাজমা ইসলামকে এবং পরে যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই সময় সরকার বিষয়টি নিয়ে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরে তদন্ত প্রতিবেদনও জমা হয়। ৩৯৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্রভাবশালীদের দখলে থাকা দুই শতাধিক প্লট বরাদ্দ বাতিলের সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। কিন্তু পরে তদন্ত প্রতিবেদনসহ মামলার নথি কয়েক দফায় গায়েব হয়ে যায় দপ্তর থেকে।
দীর্ঘদিন পর জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) মামলার পক্ষভুক্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রুলের শুনানি করে হাইকোর্ট নথি তলবের আদেশ দেন আজ।
সংবাদচিত্র ডটকম/আইন ও বিচার