দেশের শেয়ারবাজারে টানা ৯ দিনের দরপতনের পর অবশেষে আশার আলো দেখা গেছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শেষ দেড় ঘণ্টায় সূচকে নাটকীয় উত্থান ঘটে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ৪,৯৯৫ পয়েন্টে গিয়ে ঠেকে, যা আবার প্রায় ৫ হাজার পয়েন্টের ঘরে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তবে দিনের শুরুটা ছিল একেবারেই ভিন্ন। প্রথম আধা ঘণ্টায় সূচক পড়ে যায় প্রায় ৫০ পয়েন্ট। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ছিল নিম্নমুখী। দুপুর ১টার পর থেকে দৃশ্যপট বদলাতে শুরু করে, এবং লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বাজার ঘুরে দাঁড়ায়।
এই হঠাৎ উত্থানের পেছনে অন্যতম ‘অদৃশ্য’ অনুঘটক হিসেবে বাজারে গুঞ্জন ছড়িয়েছে—পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের সম্ভাবনা। তিনি আগামী ৫ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারে ১১ দিনের সফরে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি দুটি আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজার সম্মেলনে অংশ নেবেন। যদিও এটি পূর্বনির্ধারিত সফর, তবে বাজারে নানা মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে তিনি দেশে আর ফিরবেন না—এমন গুজবই বাজারে আশাবাদের বাতাস বইয়ে দিয়েছে।
ডিএসইর একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বর্তমান বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে দৃশ্যমান কোনো মৌলিক কারণ নেই। তবে চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুঞ্জন বাজারে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলেছে।”
তবে শুধু গুঞ্জনই নয়, বাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বড় ধরনের দরপতনে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক কাটাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয়ে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাজারে চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম জানিয়েছেন, কমিশন থেকে বাজারে হস্তক্ষেপ বা কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তার ভাষায়, “মার্কেট এখন তার নিজস্ব গতিতেই চলছে।”
সংবাদচিত্র ডটকম/অর্থনীতি