টানা নয়দিন ধরে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এই উত্তেজনা প্রশমনে চীন ও রাশিয়ার পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলোও সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নিচ্ছে।
শনিবার (২১ জুন) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি শনিবার রাতে জেনেভা থেকে লন্ডনে ফিরে গেছেন। জেনেভায় তিনি ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধানদের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করেন।
এর আগে ল্যামি ওয়াশিংটন সফর করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ হুইটেকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি জেনেভা বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বার্তা পৌঁছে দেন, যাতে বলা হয়েছে—মার্কিন সামরিক পদক্ষেপের হুমকি “বাস্তব ও আসন্ন”, তবে এখনো কূটনৈতিক পথ খোলা আছে।
ইউরোপীয় নেতারা বৈঠকে ইরানের সামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির নিন্দা জানান এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
বিবিসির প্রতিবেদক জানান, ইউরোপীয় পক্ষ ইরানের সঙ্গে আবারও সংলাপে বসতে আগ্রহী হলেও এখনো নির্দিষ্ট সময় বা স্থান চূড়ান্ত হয়নি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে স্পষ্ট করেন, ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হলে তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা করবে না। তবে ইউরোপীয় নেতারা মনে করেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে এখনই আলোচনার টেবিলে ফিরে আসা সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই আবারও তার মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
সংবাদচিত্র ডটকম/আন্তর্জাতিক
