মুজিব বর্ষে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় ও সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিভিন্ন সময় এটা বলেছেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এরই মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৮০ জন ভূমিহীনকে দুই কক্ষের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। তবে দেশব্যাপী নির্মিত বাড়িগুলোতে অনিয়মের চিত্র ফুটে উঠেছে বছর না ঘুরতেই। অনেক ঘর ভেঙে পড়েছে। কোথাও মাটি সরে গেছে, কোথাও বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন জায়গায় অনিয়ম করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
দেশের ২২ জেলার ৩৬ উপজেলায় এমন অভিযোগের দায়ে উপসচিব ও ইউএনও পর্যায়ের পাঁচ কর্মকর্তাকে ওএসডি করেছে সরকার। গত ৪ ও ৫ জুলাই পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।
বদলিকৃত কর্মকর্তারা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. লিয়াকত আলী শেখ, বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, মুন্সিগঞ্জের সদরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন, বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপ সচিব) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত মো.শফিকুল ইসলাম, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (উপ-পরিচালক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউক হিসাবে বদলির আদেশাধীন) রুবায়েত হায়াত শিপলু।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতিটি বিষয় আমরা তদন্ত করেছি। তদন্তে যারা দায়ী হবেন সরকারি বিধি অনুসারে তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। যে কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে যতো গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যাবে, তার শাস্তিও ততো গুরুতর হবে। প্রমোশন, ইনক্রিমেন্ট বন্ধ হবে। অতি গুরুতর অভিযোগ থাকলে চাকরিও যেতে পারে।
দেশব্যাপী নির্মিত এসব ঘর নিয়ে কারও অভিযোগ থাকলে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় কিংবা জেলা প্রশাসকের দফতর, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কেও অবহিত করতে আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদচিত্র/জাতীয়/আর.কে