পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম-পি)।
এর মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার (৩০ মার্চ) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমতাসীন জোট ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন এমকিউএম-পি’র আহ্বায়ক খালিদ মকবুল সিদ্দিকী। এ সময়ে দেশটির বিরোধীদলীয় নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
দেশটির পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটের দিনও যদি এমন পরিস্থিতি বহাল থাকে, হালে জাতীয় পরিষদে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন ইমরান খান। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই কিংবদন্তি ক্রিকেট তারকাকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। আগামী ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
সিদ্দিকী বলেন, আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছি। এই মুহূর্তকে অভিনন্দন জানানোর চেয়েও বড় কথা হচ্ছে, এই পরীক্ষায় জাতীয় নেতাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। আজ প্রার্থনার দিন, যাতে সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া পূরণ হয়। বর্তমান সময়ে আমার প্রত্যাশা, আমরা যেন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাই। যার ইতিবাচক ফল পাবেন সাধারণ মানুষ।
তিনি বলেন, আমরা বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি। এতে আমাদের ব্যক্তি কিংবা দলীয় কোনো স্বার্থ নেই। আমাদের চুক্তির প্রতিটি অনুচ্ছেদ পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের স্বার্থের জন্য। বিশেষ করে, সেই সব ক্ষেত্রে, যেসব জায়গায় গেল ৩৫ বছর ধরে আমরা প্রতিনিধিত্ব করছি। যেসব ক্ষেত্রে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়ার দাবি করেন পাকিস্তানের এই রাজনীতিবিদ। দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ বলেন, আজ এক ঐতিহাসিক দিন। বিরোধী দলগুলো আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের ৮৪টি, পাকিস্তান পিপলস পার্টির ৫৬টি, মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমলের ১৫টি, বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি-এমের (বিএনপি) চারটি, আইএনডির তিনটি, এএনপির একটি, জেডব্লিউপির একটি, পিএমএল-কিউয়ের একটি ও এমকিউএম-পির সাতটি আসন রয়েছে। অর্থাৎ বিরোধী দলগুলোর কাছে এখন ১৭৬টি আসন।
সংবাদচিত্র/আন্তর্জাতিক