আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার সাইনবোর্ড গায়ে লাগিয়ে সাড়ে ১১ হাজার মানবতাবিরোধী বন্দিকে মুক্ত করেছিলেন। চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধীদের দলভুক্ত করে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছিলেন।’
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে ঝালকাঠির নলছিটিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সরকারি নলছিটি মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আমু বলেন, ‘জিয়ার ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়াও নিজামী-মুজাহিদদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর মতো ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি সারাদেশে গণহত্যা ও নারী নির্যাতন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন অর্থনৈতিকভাবে হুমকির সম্মুখীন। এ সমস্যা মোকাবিলা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। আশা করি, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই এ বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান হবে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তছলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে শোক দিবসের আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট জি কে মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ব্যারিস্টার সুমাইয়া হোসেন অদিতি, নলছিটি পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ কবির খান প্রমুখ।
সংবাদচিত্র/রাজনীতি