স্বর্ণ চুরির অপবাদে মুরাদ হোসেন রনি নামের এক যুবককে (৩৫) হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। নির্যাতনকারী আওলাদ হোসেন মুন্সীগঞ্জ পৌর সভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ইতিমধ্যে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গত সোমবার (১২ জুলাই) মুন্সীগঞ্জ শহরের দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকায় মারধরের ঘটনাটি মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ভাইরাল হওয়ার পর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়। নির্যাতনের শিকার মুরাদ-এর বাবা মোরশেদ হোসেন বাদী হয়ে কাউন্সিলর আওলাদসহ আরও দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অপর দুই অভিযুক্ত হলেন- একই এলাকার মনির হোসেন ও কালাই হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার মনির হোসেনের বাড়ি থেকে ৪ভরি স্বর্ণ ও ২২ হাজার টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় সোমবার সকালে চুরির অপবাদে মনির-এর প্রতিবেশী রনিকে বাড়ি থেকে ধরে আনেন কাউন্সিলর আওলাদ হোসেনসহ মনির হোসেন ও তার ভাই কালাই। পরে মনির-এর বাড়ির উঠানে রনিকে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন আওলাদ। তবে মারধরের পরও চুরির বিষয়ে অস্বীকার করেন রনি। পরে রনির ছোট ভাই থানা থেকে পুলিশ নিয়ে এলে কউিন্সিলর পুলিশের কাছে রনিকে সোপর্দ করেন।
নির্যাতনের শিকার রনি বলেন, আমিতো স্বর্ণ নিইনি, কেনো স্বীকার করবো। আমারে শুধু শুধু মারধর করছে, আমি এর বিচার চাই।
মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমি রনিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসিনি। মনিরদের বাড়িতে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে- এটি জানতে পেরে আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি অনেক মানুষ সেখানে। পরে ক্রেডিট নেয়ার জন্য তাকে মেরে ছেড়ে দিছি। পুলিশ আসলে চিকিৎসা করানোর কথা বলি। বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে। চুরির প্রমাণ পাইনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। কালাই ও মনির নামের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন পলাতক রয়েছে।
সংবাদচিত্র/অপরাধ