নতুন আঙ্গিকে শুরু হলো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। গেল মৌসুমেও যেখানে দল ছিল ৭টি। সেখানে এবার ৩২ দল নিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। ২১তম আসরে এসে ফিফার ক্লাব বিশ্বকাপে এসেছে নতুনত্ব। এখন পর্যন্ত অবশ্য খুব বেশি সাড়া পাওয়া যায়নি। সম্প্রচারের জটিলতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খেলা বলেই কি না, মেলেনি আশানুরূপ সাড়া।
সবমিলিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শুরুর দিনগুলোতে খুব বেশি আশাব্যঞ্জক কিছু নেই ফুটবল ভক্তদের জন্য। যদিও এখন পর্যন্ত বেশকিছু ম্যাচ দেখেছে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বেনফিকা-বোকা জুনিয়র্স কিংবা ইন্টার মায়ামি-আল আহলি ম্যাচগুলো দর্শকদের অভিভূত করেছে। এরপরেও এমন আয়োজনের কোন যৌক্তিকতা দেখছেন না লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস। ফুটবল ক্যালেন্ডার থেকে এই টুর্নামেন্টকে বাদ দেয়া উচিত বলেই মনে করছেন তিনি।
স্প্যানিশ লা লিগার সভাপতির মন্তব্য, ‘আমার লক্ষ্য হল আর কোন ক্লাব বিশ্বকাপ থাকবে না, এ বিষয়ে আমি খুব পরিষ্কার। এর কোন জায়গা নেই। এই মডেলটি ঘরোয়া লিগগুলোর পরিবেশকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে ইউরোপে। আমাদের যে পরিবেশ আছে, তা বজায় রাখতে হবে এবং এটিকে বাদ দিতে হবে। (ক্লাব বিশ্বকাপ) আগের মতোই রাখতে হবে, যখন এটি মূলত এক সপ্তাহ ধরে খেলা হতো।’
কিন্তু কেন এমন মনোভাব হলো ৬২ বছর বয়েসী তেবাসের? এর উত্তরটাও তিনি দিয়েছেন। চেলসি এবং লস অ্যাঞ্জেলস এফসি’র মধ্যেকার ম্যাচের পরেই মূলত এমন মনোভাব তেবাসের,‘চেলসির ম্যাচটি কিছুটা দেখেছি এবং এটিকে প্রাক-মৌসুমের প্রীতি ম্যাচের মতো মনে হচ্ছিল। কোন তীব্রতা দেখতে পাইনি, অন্তত ২৫ মিনিট ধরে আমি যা দেখেছি।’
আটলান্টায় এদিন ৭১ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে উপস্থিতি ছিল কেবল ২২ হাজার ১৩৭ জন। প্রায় ৫০ হাজারের মতো আসন ফাঁকা। এই নিয়ে আছে নানা মন্তব্য। তবে অনেকেই দুষছেন ম্যাচের সময়কে। সোমবার বিকেল বলেই দর্শক মাঠে আসেনি এমন মন্তব্যও এসেছে।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম ৩২ দল নিয়ে হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ। আসরটি শুরু হয়েছে গত শনিবার, ফাইনাল হবে আগামী ১৩ জুলাই। চার বছর পরপর হবে টুর্নামেন্ট।
সংবাদচিত্র ডটকম/ফুটবল