পরিবর্তন হচ্ছে বিশ্ব। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে নানান দুর্যোগ। কোথাও অতিবৃষ্টি যেমন বন্যার মতো দুর্যোগ এনে দিচ্ছে কোথাও আবার অনাবৃষ্টিতে তৈরি হয় খরা। বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে মরুকরণ বা খরা অনেক বড় একটি সমস্যা। তাই মরুকরণ প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে প্রতি বছরের ১৭ জুনকে বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশসহ বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, রেস্টোরেশন ল্যান্ড, রিকোভারি।
১৯৭৫ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের পক্ষ থেকে খরা ও মরুকরণের প্রতি সোচ্চার হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এরই ধারবাহিকতায় ১৯৭৭ সালে নাইরোবিতে বিশ্ব মরুকরণবিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মরুকরণ প্রতিরোধ কনভেনশন।
১৯৯৪ সালে এই কনভেনশনের আলোকেই জাতিসংঘ বিষয়টি নিয়ে একটি স্বতন্ত্র দিবস পালনের ঘোষণা দেয়। পরের বছর ১৯৯৫ সাল থেকে খরা ও মরুকরণ সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে ১৭ জুন পালন করা হয় বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস।
১৯৯৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম বিশ্ব মরুময়তা দিবস পালিত হয়। উত্তরাঞ্চলের রাজশাহীকে কেন্দ্রবিন্দু ধরে নগর থেকে ৪০ কি.মি পশ্চিমে কাকনহাটে জাতীয়ভাবে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হয়।
সংবাদচিত্র/পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য/আর.কে