নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ২৩ মে সারাদেশে বিক্ষোভ করবে তারা। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
শনিবার (৩ মে) সকাল ৯টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এতে যোগ দেন।
সমাবেশের মূল ইস্যু ছিল—সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নামে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং ‘শাপলা চত্বরে গণহত্যার’ বিচার।
এদিন দুপুর ১ টা ১১ মিনিটে হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীর মুনাজাতের মাধ্যমে মহাসমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী এবং পরিচালনা করেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, মামলা প্রত্যাহার পিছিয়ে গেলে নির্বাচনের পর নতুন যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা এসব মামলাগুলোকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ সরকার তো ইতিমধ্যেই নির্বাচন দেওয়ার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তো নির্বাচনের আবহ তৈরি হলে আমাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার হবে না। আমরা একটা রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে পড়ে যাব। সরকার তো অনেকের হাজারো দাবি মানছে, তাহলে আমাদের দাবি মানতে সমস্যা কোথায়?
হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে। চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২৩ মে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।
এর আগে, শনিবারের সমাবেশকে সফল করতে এদিন ফজরের নামাজের পর থেকেই ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সংগঠনটির নেতারা এসময় সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচিতে যোগদান করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল ও গণসংযোগ করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। মিছিলে তারা দেশের ধর্মপ্রাণ জনতাকে কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ‘ইসলাম ও ন্যায়বিচারের’ পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
সংবাদচিত্র ডটকম/রাজনীতি