প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ । ৯:০৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম জ্যামের সাক্ষী হলো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রীরা

সংবাদচিত্র ডেস্ক

রাজধানীর যানজট নিরসনে গেল ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু মাস না যেতেই বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে দেখা যায় তীব্র যানজট। রাজধানীর তেঁজগাও থেকে শুরু করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত জ্যাম লক্ষ্য করা যায়।

এসময় যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তির সম্মুখীন হন। তারা বলছেন সময় বাঁচানোর জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসলেও আড়াই ঘণ্টা লেগেছে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট আসতে।

যাত্রীরা বলেন, উত্তরা থেকে তেঁজগাও পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ মিনিট চলে আসলেও বাকি ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে প্রায় ২ ঘণ্টা।

কাওলা থেকে ফার্মগেট আসা জাহিদ হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, সময় বাঁচানোর জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসলেও সময় বাঁচাতে পারিনি। নিচ দিয়ে আসলেও প্রায় একই সময় লাগে।

তিনি বলেন, গাড়ি নামার জন্য যে জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়েছে এই জায়গায় আগে থেকেই জ্যাম লেগে থাকতো। নতুন করে এই জায়গা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গাড়ি নামার কারণে প্রতিদিনই জ্যাম লেগে যায়। আজকে বৃষ্টির কারণে তীব্র জ্যাম সৃষ্টি হয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বিস্তৃত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‍্যাম্প রয়েছে।

ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিনিয়োগকারী কোম্পানি। এতে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) শেয়ার ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

প্রকল্প অনুযায়ী, প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি ২০১১ সালে। পর্যালোচনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে। প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ছিল জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

সংবাদচিত্র ডটকম/রাজধানী

প্রিন্ট করুন