প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১ । ৭:৩৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার, ১২ মে ২০২৫

হবিগঞ্জে আশ্রয়ণ ঘরে ফাটল, আতংকে পরিবার

অনলাইন ডেস্ক

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও এলাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের মাঝে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলের বিভিন্ন অংশে একাধিকবার সিমেন্ট দিয়ে কাজ করে গেলেও কোন প্রকার কাজ হচ্ছেনা। এমনকি বেশ কিছু ঘরের ফ্লোর দেবে যায়। দেয়াল ধসে পরার আশংকায় আতংকের মধ্যে বসবাস করছে উপকারভোগিরা। কাজের মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কালনী-কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেষে তৈরী করা হয়েছে মুজিববর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫১ টি ঘর।প্রায় মাস দুয়েক আগে উপকার ভোগিদের মাঝে ঘর হস্থান্তর করে দেয়া হয়। কিছু পরিবার সেখানে বসবাস ও শুরু করছেন। তার মধ্যে ৫ টি ঘরের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাকি ঘরগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের সহযোগীতায় ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজের ফলে ঘর নির্মানের কয়েকদিনের মধ্যেই দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফটল দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন পরপর নির্মান শ্রমিকরা এসে সিমেন্ট দিয়ে ফাটল বন্ধ করার চেষ্টা করছে। তাতে কাজ হচ্ছেনা বলে জানান, এমন কি গৃহহীন পরিবাররা ঘরের চারপাশে নিজেরা মাটি কেটে ভরাট করে বসবাস শুরু করেন, এ ছাড়া ঘরের মধ্যে যে কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে তাও অনেক নিম্নমানের।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮৮ ও দ্বিথীয় ধাপে ৩০ ঘর বরাদ্দ আসে। ঘরগুলো নির্মাণ করে উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরন করা হলেও ১৫ টি ঘর তালিকার সমস্যা থাকার কারনে বিতরন করা হয়নি। ভুক্তভোগী শচিন্দ শীল ও বিলকিস বেগমের ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের চারদিখে ওয়ালের গুড়ায় ফাটল। ধসে পড়ার আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন তারা।

মোছাঃ বিলকিস বেগম ও শচীন্দ্রকে বলেন, আমরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আতংকের মধ্যে রাত্রী যাপন করি, এই ঘরে বসবাস করি। ফাটল দেয়া ওয়াল ধসে পড়লে হতাহতের আশংকা রয়েছে। কয়েকদিন আগে নির্মাণ শ্রমিকরা এসে ফাটলগুলো সিমেন্ট দিয়ে যায়। নিম্নমানের কাজের ফলে ফাটল দিয়েছে বলেও জানান তিনি। একই কথা বলেন আরো কয়েক ঘরের মালিক একই আতংকের কথা জানান। এর পূর্বে ৩২টি ঘর সচ্চল পরিবারের লোকদের উৎকুচের বিনিময়ে বরাদ্ধের অভিযোগ উঠলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।

সংবাদচিত্র/ডিএস/এফবি/আরএস

প্রিন্ট করুন