প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১ । ৯:১৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার, ১২ মে ২০২৫

ইভ্যালি’র অনিয়ম তদন্তে নেমেছে দুদক

মো. হেমায়েত হোসেন

অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি’র অনিয়ম তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, সংস্থার সহকারি পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও সহকারি উপ-পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম।

গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে কয়েক দফা চিঠি দেয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালিডটকম-এর আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখে। ২০২১ সালের ১৫ মার্চ ইভ্যালি’র মোট সম্পদ ছিলো ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। একই তারিখে ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছে দেনা ছিলো ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টের কাছে দেনা ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকা।

গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে নেয়া ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকার মালামাল গ্রহণের পর প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ ১ হাজার ৯১৪ টাকার সম্পদ থাকার কথা ছিলো। প্রতিষ্ঠানটির কাছে চলতি সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৪ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা। গ্রাহক ও মার্চেন্টের কাছ থেকে নেওয়া বাকি ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ ১৮ হাজার ১৭৮ টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

বিপুল অংকের এই টাকা আত্মসাৎ কিংবা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন আশংকা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি কয়েকটি সুপারিশের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এসব নিশ্চিত করেছেন।

গত ৪ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশের আলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুদক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে ইভ্যালি’র আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করার অনুরোধ জানায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্পদ দিয়ে মাত্র ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে ইভ্যালি। বাকি গ্রাহক এবং মার্চেন্টের পাওনা পরিশোধ করা কোম্পানিটির পক্ষে সম্ভব নয়।

সংবাদচিত্র/অর্থনীতি

প্রিন্ট করুন