প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২ । ১০:৫১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, উপকূলে বৃষ্টির পূর্বাভাস

সংবাদচিত্র ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপ আরও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল শনিবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আগামী সোমবারের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এদিকে নিম্নচাপটি শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ধরে নিয়ে ব্যাপক প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

এর প্রভাবে বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপকূলে আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রবল বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

তবে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করবে কি না, এখনই নিশ্চিত নন দেশের আবহাওয়াবিদেরা।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ওই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হতে পারে ‘সিত্রাং’। এর প্রভাবে বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপকূলে আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রবল বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সুন্দরবনসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

ভারতের কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে দেশটির উপকূলীয় এলাকাগুলোয় ব্যাপক প্রস্তুতি কার্যক্রম নিয়েছে।
তবে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, অক্টোবরের ২৫ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ দেখে তারা বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা দিয়ে থাকেন। তবে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানুক না–হানুক, এর প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, লঘুচাপটি এখনো আন্দামান সাগরের কাছে অবস্থান করছে। এটি বাংলাদেশ উপকূল থেকে বেশ দূরে। তবে আগামীকালের মধ্যে তা আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি কোথায় এবং কত শক্তি নিয়ে আঘাত করতে পারে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আগামী দুই দিনের মধ্যে তা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।

কানাডার সাসক্যাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ শুক্রবার বিকেল ৩টার পর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন- আজ সন্ধ্যার পরে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য একটি আদর্শ পরিবেশে পৌঁছে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আর আগামীকাল সকালের মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। শনিবার দিন শেষে ডিপ্রেশনটি আরও সংগঠিত হয়ে পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের পুরোটা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে বিশেষ করে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সকল উপকূলীয় জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলেও লিখেছেন তিনি।

সংবাদচিত্র ডটকম/আবহাওয়া

প্রিন্ট করুন