প্রকাশের সময়: রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ । ২:২৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার, ১২ মে ২০২৫

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠতে বাকি আর মাত্র ২৯ দিন

স্পোর্টস রিপোর্ট

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠতে বাকি আর মাত্র ২৯ দিন। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরের পথচলা শুরু হয়েছিল ২০০৭-এ। ২০০৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ার্ল্ডটি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।

বাকি নেই এক মাসও, চার ছক্কার ফুলঝুরি ফোটাতে চলে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এবার বসছে ওয়াল্ড টি-টোয়েন্টি ৮ম আসর। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের সেকেন্ড এডিসন বসে ২০০৯-এ। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের স্মৃতির পাতায় একটু ওলটপালট করে দেখা যেতেই পারে।

২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ছিল পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে স্মরনীয়। মাত্র ২ বছর আগের উদ্বোধনী টুর্নামেন্টে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে জিততে জিততে হেরে যাওয়ার ক্ষত তখনও শুকায়নি। ইংল্যান্ডদের মাটিতে হট ফেভারিট শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় ইউনিস খানের পাকিস্তান।

১২ দল নিয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্টে, গ্রুপ হয় ৪টা। একেক গ্রুপে তিনটা করে দল, একটা ম্যাচ
জিতলেও সুপার ফোর ভালোভাবেই সম্ভব। অথচ ওই আসরটাই ছিল টাইগারদের জন্য এক
বিভীষিকার নাম।

প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ হারে ভারতের বিপক্ষে ২৫ রানে। তবু সুযোগ ছিল ভালোভাবেই। তবে
আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে হারটা ছিল বেশি লজ্জার। আইরিশদের মাত্র ১৩৮ রানের টার্গেট দিয়ে ৬
উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরে সেবার টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় মোহাম্মদ আশরাফুলের বাংলাদেশ।

২০০৯ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি বাজিমাত করেছিলেন লঙ্কান ওপেনার তিলাকারন্তে
দিলশান। প্রায় ৫৩ গড়ে ৭ ম্যাচে করেছিলেন ৩১৭। ফিফটি মেরেছিলেন ৩টা, সর্বোচ্চ ছিল ৯৬ রানের ইনিংস। অ্যাভারেজে এগিয়ে থাকলেও ২ ম্যাচ কম খেলায় দুইয়ে সাউথ আফ্রিকান অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। এরপর ছিলেন ক্রিস গেইল, কামরান আকমল, ডিভিলিয়ার্সরা।

প্রথম আসরের মতোই ২০০৯ সালেও সমান ১৩ উইকেট নিয়ে সবার শীর্ষেছিলেন পাকিস্তান পেসার ওপমর গুল। ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গুলের ৬ রানের ৫ উইকেট ছিল আসরের বেস্ট বোলিং ফিগার। ১২টা করে উইকেট নিয়েছিলেন অজান্তা মেন্ডিস্, সাইদ আজমল ও মালিঙ্গা। ওদের পরেই ছিলেন শাহিদ আফ্রিদি।

২০ ওভারী বিশ্বকাপের প্রথম আসরে এক ওভারে ৬ ছক্কা মারা ইউবরাজ সিং ২০০৯ সালেও মারেন সবেচে বেশি ছক্কা। ৫ ম্যাচে ৯ বার ওভার বা উন্ডারি হাকান এ বাহাতি ভারতীয় ব্যাটার। ওর চেয়ে একটা কম দিয়ে দুইয়ে ছিলেন ক্রিস গেইল।

সংবাদচিত্র ডটকম/ক্রিকেট

প্রিন্ট করুন