প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ । ৫:১৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

সংবাদচিত্র রিপোর্ট

কর্মচারীদের সমবায় সমিতির ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ আবেদন করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মুনজুর আলম সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মহানগর হাকিম আশেক ইমাম বাদীর জবানবন্দি শুনে বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান। এছাড়াও মামলায় আরও অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা পায়। আর ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে এ কাজ থেকে সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা।

এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা। বাকি ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ছয়টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামিরা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন এবং সমবায় অধিদফতরের অডিট রিপোর্টেও তা ‘প্রমাণ’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

এছাড়া আসামিরা সমিতির গাড়িসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পদ ‘চুরি করেছেন’ বলে আর্জিতে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজসে বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাৎ ও চুরির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৮০,৪২০,৪০৬,৫০৬ ও১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বাদীর আর্জিতে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে তাকসিম এ খান ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন। প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়।

সংবাদচিত্র/অপরাধ

প্রিন্ট করুন