আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় আড়াইশ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্য মতে কেবল, ১ মাসে অস্ত্র সহিসংতায় প্রাণ গেছে শতাধিকের। একের পর এক হামলার পরও যুক্তরাষ্ট্রে কার্যকর করা যায়নি কঠোর অস্ত্র আইন। বৃহস্পতিবারও ডেমোক্র্যাটদের প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে রিপাবলিকান শিবির।
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা নতুন নয়। পরিসংখ্যান বলছে কেবল ২০২০ সালে দেশটিতে বন্দুক সহিংসতায় প্রাণ গেছে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষের। যা ২০১০ সালের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি।
চলতি বছরের অর্ধেক পেরোনোর আগেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় আড়াইশ বন্দুক হামলা হয়েছে। আর গত এক মাসে প্রাণ গেছে শতাধিকের। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২৪ মে টেক্সাসের একটি প্রাথমিক স্কুলে নির্বিচারে গুলি। সেখানে গুলিতে প্রাণ যায় ২১ জনের, যাদের মধ্যে ১৯ জনই শিশু।
এ ধরনের ঘটনা এড়াতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে ক্যাপিটল হিলে। অস্ত্রের অবাধ বেচাকেনা আর নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে মরিয়া আবেদন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অ্যাসল্ট রাইফেল নিষিদ্ধ করা, বন্দুক বিক্রির আগে অতীত ইতিহাস খতিয়ে দেখা এবং বন্দুক কেনার জন্য ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বাইডেনের এই আহ্বানের পরপরই দুইটি বন্দুক হামলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় আইওয়া রাজ্যের একটি গির্জায় হামলায় প্রাণ যায় দুই নারীর। উইসকনসিনের রেসিন সমাধিস্থলে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে গুলিতে আহত হন দুইজন ।
অস্ত্র আইনের সংস্কার নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা-সমালোচনা হলেও, মাত্র ৫২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক কঠোর অস্ত্র আইনের পক্ষে। ডেমোক্র্যাট দলের ৯১ শতাংশ কঠোর অস্ত্র আইনের পক্ষে থাকলেও রিপাবলিকানদের বিরোধীতায় এখনও অস্ত্র আইনের সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবারও হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ডেমোক্র্যাটদের তোলা প্রস্তাব আটকে দিয়েছে রিপাবলিকানরা। আগামী সপ্তাহে আবারো কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে উঠতে যাচ্ছে ৪১ পৃষ্ঠার প্রোটেক্টিং আওয়ার কিডস অ্যাক্ট।
সংবাদচিত্র/আন্তর্জাতিক