প্রকাশের সময়: রবিবার, ১ মে, ২০২২ । ৪:২১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট এর তারিখঃ শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

চাঁদপুরের কয়েকটি গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত

চাঁদপুর সংবাদদাতা

আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখা যাওয়ায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
রবিবার (০১ মে) হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।

দরবারের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে বিশ্বর প্রথম চন্দ্র দর্শণের নির্ভর যোগ্য সংবাদের ভিত্তিতে মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব। শনিবার আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখে গেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে প্রাপ্ত হয়ে আজ আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি।

পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটস্থ খানকা, আসকোনা এবং পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরিফে ঈদের জামাত হয়েছে। চাঁদ দেখার বিষয়টি যথাসময়ে পৌঁছে দিতে না পারায় অনেক গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়নি। তারা পরবর্তীতে ঈদ উদযাপন করবে।

পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয় চৌধুরী আল মাদানী বলেন, ১৯২৮ সার থেকে বিশ্ব মুফতী আল্লামা ইসহাক রহ.কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুর জেলার সার্দ্রা ঐতিহাসিক দরবার শরীফের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ সর্বপ্রথম নবচঁন্দ্র দর্শনের নিভরযোগ্য সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবছরই রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহাসহ ধর্মীয় সকল উৎসবাদি পালন করে থাকি।

উল্লেখ্য, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রতি বছর চাঁদপুরের তিনটি উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

সংবাদচিত্র/সারাদেশ

প্রিন্ট করুন