আসন্ন ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের পর ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন দেয়া বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-৬ এর ৯৬তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আজ শনিবার (১৭ জুলাই) তিনি এই কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের পর যে লকডাউন দেয়া হবে তাতে সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের অফিস বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে গণপরিবহন ও দোকান-পাটও।
লকডাউন শিথিলের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
লকডাউন শিথিলের কারণে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি যে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে- সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা চিন্তা করে সরকার লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কোরবানিকে ঘিরে আমাদের একটি বিশাল অর্থনীতি রয়েছে। অনেকে ঈদ উপলক্ষে পশু প্রতিপালন করেছেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই বিধিনিষেধ শিথিল করতে হয়েছে।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, বিজিবির যশোর রিজিওয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান পিএসসি, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মুনছুর আলম খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল আলমসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদচিত্র/রাজনীতি